কালিদাসের 'রঘুবংশ' মহাকাব্যের চতুর্দশ সর্গে কালিদাস বিস্মিত দেখা যায় মহামেরু পর্বতের দৃশ্য। এই সর্গে মহামেরু পর্বতে কালিদাস অত্যন্ত সুন্দর বর্ণনা দেয়। পর্বতের শৃঙ্গের উপর বহুধা গান্ধার সৌন্দর্য আছে বলে বর্ণিত হয়। সেই পর্বতে গিরিগুহা এবং বন্যজন সময় কাটানোর বিবৃতি দেয়া হয়। কালিদাস এই বিবৃতির মাধ্যমে গাহানি ও সাহিত্যিক দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
চতুর্দশ সর্গের শুরুতেই কালিদাস বর্ণনা করেন মহামেরু পর্বতের চূড়ান্ত সৌন্দর্য। সেখানে সমুদ্র দেখতে যায় যেন নীলসাগরের মতো, মেঘ মুখোমুখি সূর্যকে আলিঙ্গন করে, এক প্রজাপতি পশুর মতো আকাশে উড়ে দেখা যায়। মহামেরু পর্বত যেন নীলসাগরের মতো দেখা যায়, সেখানে সমুদ্রের পানির ধারায় চেষ্টা করে চূড়ান্ত সৌন্দর্য উপলব্ধি করে কালিদাস।
চতুর্দশ সর্গে মহামেরু পর্বতের দৃশ্যের সাথে সাথে সমুদ্রের প্রস্থে এক মহান পরিণতি দেখা যায়। মহান পরিণতি হচ্ছে অনেক গাহুলী সাপের মতো মহামেরু পর্বতের চড়ার ধারাগুলোর একটি।
চতুর্দশ সর্গে দৃশ্যে দেখা যায় অনেকগুলি মহান পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি। কালিদাস তার বাণীতে তার আধিপত্য ও কবিতার দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
চতুর্দশ সর্গের বিশেষ বিষয়বস্তুতে মহামেরু পর্বতের সৌন্দর্যের বর্ণনা, মহান পরিণতির দৃশ্য, মহান পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি, কালিদাসের কবিতার দক্ষতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
